কোন ধরণের মেয়েকে বিয়ে করবেন?
ইসলাম কেমন নারীকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে এবং আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) কেমন মেয়েকে বিয়ে করতে উৎসাহিত করেছেন তা যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনার বিয়ের পরের জীবন এবং পরকালের জীবন দুই-ই সুখের হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রত্যেক সুস্থ, সবল ও সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য বিয়ে করা আবশ্যক। যেহেতু বিয়ে এর মাধ্যমে মানুষ জীবনসঙ্গী নির্বাচন করে, ইসলামী শরিয়ত বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর সাক্ষাৎকে নিষেধ করেনি, বরং তাতে উৎসাহিত করেছে। হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা) বলেন, আমি জনৈক নারীকে বিয়ে এর প্রস্তাব করলাম। রাসূল (সা.) আমাকে বললেন, ‘তুমি কি তাকে দেখেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাকে দেখে নাও। কেননা এতে তোমাদের উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা জন্মাবে।’
বিয়ের জন্য সবার আগে পাত্রীর ঈমানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিয়ে এর জন্য ধর্মান্ধ বা ধর্মনিরপেক্ষ নয় বরং ধর্মবিশ্বাসী নারীকে বিয়ে করুন। বিয়ের পাত্রী খেঁজার সময় অবশ্যই পাত্রী তাওহীদে বিশ্বাসী, নামাযী এবং সুন্নতের অনুসারী কিনা এসব জেনে নিবেন। বেনামাযী, কবর, মাযার আর পীর পূজারী, পূজারী, ধর্মনিরপেক্ষতা ও প্রচলিত শিরকি-কুফুরীর সাথে জড়িত এমন পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করা যাবেনা।
মেয়েটির পরিবার যদি ধার্মিক হয় এবং মেয়ে যদি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে তাহলে বুঝে নিবেন যে সেই মেয়েটির ভেতরে ধর্মের ভয় কাজ করে বলে সে সব সময় ইসলামের নিয়মের মধ্যে থাকে। যার মধ্যে আল্লাহ্ তাআলার ভয় রয়েছে সে সব সময় ভালোর পথে চলবে এবং অন্যায় পথে পা বাড়াবে না। সেই জন্য বিয়ে করার ক্ষেত্রে ঈমানদার এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে এমন মেয়েকে নির্বাচন করবেন।
এই দুনিয়ার মাঝে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। আর যিনি একজন নেককার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারেন তিনি সত্যিই সৌভাগ্যবান। ধন-সম্পদ এবং বাহ্যিক সৌন্দর্যের লোভে বেদ্বীন বা দ্বীনের মাঝে ত্রুটি আছে এমন কাউকে বিয়ে করলে দুনিয়াতে অশান্তি এবং আখিরাতের অনেক কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হতে হবে। সুতরাং একজন নারীর জন্য দ্বীনদার হওয়ার গুণটি কেবল যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তা-ই নয়, এ গুণ যার নেই সে যত ধন-সম্পদের মালিকই হোক না কেন, ইসলামের দৃষ্টিতে সে অগ্রাধিকার যোগ্য পাত্রী নয়। দ্বীনদারীর গুণ বঞ্চিতা নারীকে বিয়ে করাই উচিত নয়। এর চেয়ে একজন দ্বীনদার কৃষ্ণাঙ্গ দাসীও অনেক ভাল।
কোনো মানুষের জীবনই নিখুঁত নয়। সব সংসারেই অপ্রাপ্তি, হতাশা আর আক্ষেপের গল্প থাকে। সংসার জীবনের নানা কঠিন মুহুর্তে দ্বীনদারিতাই স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক বন্ধনকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। যখন মানুষের দ্বীনদারী ও আখলাকের চেয়ে তার অর্থ সম্পদ কেমন আছে এবং সমাজে প্রভাব প্রতিপত্তিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় তখন সংগত কারণেই অধিকংশ মেয়ে স্বামীহীন এবং অধিকাংশ পুরুষ স্ত্রীহীন থেকে যাবে। ফলে সমাজে যিনা ও ব্যভিচার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।
বহু দিনের সুপরিচিত ঘটক পাখি ভাই – কল্যানকর পাত্র পাত্রীর জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান |